ময়মনসিংহের তারাকান্দায় মসজিদের ইমামকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় মহিলা মাদ্রাসার এক মুহতামিমসহ একই মাদ্রাসার এক মেয়ে শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- তারাকান্দা উপজেলার বকশীমূল গ্রামে অবস্থিত বাগে জান্নাত মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম ও ফুলপুর উপজেলার বওলা ইউনিয়নের বওলা পূর্বপাড়া গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে মুফতি শরীফ আল হোসাইনি(৩৫) এবং একই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রামচন্দ্রপুর গ্রামের রহুল আমিনের মেয়ে সাদিয়া আক্তার(১৫)।
১০ ফেব্রুয়ারি(সোমবার) বিকালে ১ নং তারাকান্দা ইউনিয়নের বকশীমূল গ্রামের বাগে জান্নাত মহিলা মাদ্রাসা(নূর ইসলাম টাওয়ার) থেকে অভিযুক্ত মুহতামিম এবং পিঠাসূতা গ্রামের বাইতুন নূর জামে মসজিদের সামনে থেকে জনতার হাতে আটক সাদিয়াকে গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে মাদ্রাসার ১৫ বছরের মেয়ে শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তারের মাধ্যমে একই ইউনিয়নের পিঠাসূতা গ্রামের বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম সাইদুল ইসলাম(৩২)কে হাদিয়া স্বরূপ চার পিস খেজুর এবং জুসের বোতলে এক বোতল পানীয় সদৃশ তরল পদার্থ পাঠায় অভিযুক্ত মুহতামিম। পানীয়টিকে সে পবিত্র জমজম কূপের পানি বলে শিক্ষার্থীকে বলতে বলে।যথারীতি মুহতামিমের কথামত চারটি খেজুর ও পানীয় নিয়ে ঐ ইমামের কাছে যায় শিক্ষার্থী।
কিন্তু ইমামকে দেওয়ার পূর্বেই জমজমের পানি মনে করে সেই পানীয় পান করেন মো.মোফাজ্জল হোসেন(৬০) নামের পিঠাসূতা গ্রামের এক বাসিন্দা।মোফাজ্জল হোসেন উপজেলার তারাকান্দা ইউনিয়নের পিঠাসূতা গ্রামের মৃত হাজী হোসেন আলী মুন্সির ছেলে।পানীয় পানের পরই মুখগহ্বরে জ্বালাপোড়া শুরু হয় মোফাজ্জল হোসেনের।একপর্যায়ে বমি হতে শুরু করে।
এরপর আত্মীয়-স্বজন মোফাজ্জল হোসেনকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটির ১৩ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছেন মোফাজ্জল হোসেন।তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
এ বিষয়ে মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম(৩০) বলেন- আমার বাবা গুরুতর অসুস্থ।তাঁর মুখগহ্বর,জিহ্বা জ্বলসে গেছে।তাকে এসিড জাতীয় কিছু পান করানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকগণ।আমি এই মাদ্রাসার মুহতামিমের বিচার চাই ।